বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতি বাড়ার চারটি কারণ চিহ্নিত করেছে বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটি বলছে, অভ্যন্তরীণ জ্বালানির মূল্য বেড়ে যাওয়া, দুর্বল মুদ্রানীতি, টাকার অবমূল্যায়ন ও বৈদেশিক মুদ্রা কমে যাওয়ায় আমদানি কমে যাচ্ছে। এই চার কারণেই বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতি বাড়ছে বলে জানায় সংস্থাটি।
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) সংস্থাাটির ঢাকা অফিসে ‘বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
বাংলাদেশ ও ভুটানে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক বিস্তারিত তুলে ধরেন।
চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছর বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কিছুটা কমিয়ে এনেছে বিশ্বব্যাংক। সংস্থাাটির নতুন এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এই অর্থবছর জিডিপি ৫ দশমিক ৬ শতাংশ হতে পারে।
এছাড়া প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, দেশে ২০২৫ সালে ৫ দশমিক ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে। ২০২১-২২ অর্থবছরে ৭ দশমিক ১ ও ২০২২-২৩ অর্থ বছরে ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছিল সংস্থাটি।
এছাড়াও দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতে ৬ দশমিক ৩ ও মালদ্বীপে ৫ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে। ২০২৩ সালে শ্রীলঙ্কায় প্রবৃদ্ধি ছিল নেতিবাচক মায়নাস ৩ দশমিক ৮ শতাংশ। ২০২৪ সালে দেশটি ঘুরে দাড়াবে, প্রবৃদ্ধি হবে ১ দশমিক ৭ শতাংশ।
বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশে দারিদ্র্য কমে ৫ শতাংশ হয়েছে, ২০১৬ সালে যা ছিল ৯ শতাংশ।