

ছুরিকাঘাতের পর তড়িঘড়ি করে হাসপাতালে নেওয়া হয় বলিউড তারকা সাইফ আলী খানকে। সেখানে তার অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়। এরপর নেওয়া হয় আইসিইউতে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এ তথ্য।
সেখানে বলা হয়েছে, চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, অস্ত্রোপচারের পর পর্যবেক্ষণের জন্য আইসিইউতে নেয়া হয়েছে সাইফ আলী খানকে। আগামীকাল সকালে শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, দুই দিন পর বাড়িতে নেওয়া হতে পারে সাইফকে।
লীলাবতী হাসপাতালের চিকিৎসক নীতীন দাঙ্গে বলেছেন, “শিরদাঁড়ায় গুরুতর চোট রয়েছে সাইফের। শিরদাঁড়ায় গেঁথে ছিল ছুরি। অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সেই ছুরি বের করা হয়েছে। ছুরি আটকে থাকার ফলে শিরদাঁড়া থেকে তরল নির্গত হচ্ছিল।”
আজ বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় দুপুর ১২টার দিকে সাইফ আলী খানের জনসংযোগ টিমের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে তার শারীরিক অবস্থা নিয়ে হালনাগাদ তথ্য জানানো হয়।
জনসংযোগ টিমের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সাইফ আলী খানের অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে, তিনি এখন শঙ্কামুক্ত। তিনি এখন সেরে ওঠার প্রক্রিয়ায় আছেন, চিকিৎসকেরা তাঁর দেখভাল করছেন।’ বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, তার পরিবারের অন্য সদস্যরা নিরাপদে আছেন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে।
পুলিশ জানিয়েছে, রাতে সাইফের বাড়ির গৃহকর্মীর সঙ্গে বিবাদে জড়াতে দেখা যায় ওই বদুষ্কৃতিকারীকে। সে সময় কোনো ভাবে সেখানে এসে পড়েন সাইফ।
অভিনেতা প্রশ্ন তুলতেই তার ওপর ঝাপিয়ে পড়ে দুষ্কৃতিকারী। তিনি তখন ঢুকে পড়েন ছেলে জেহের ঘরে। বাধা দিতে যান সাইফ। তাতেই শুরু হয় ধস্তাধস্তি। ছেলের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে গিয়ে নিজে আহত হন সাইফ।
এদিকে প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, সাইফের বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়েছে। কিন্তু সেখানে বুধবার রাতে ওই ঘটনার দুই ঘণ্টা আগ পর্যন্ত কাউকে বাড়িতে ঢুকতে দেখা যায়নি। মনে করা হচ্ছে, দুপুরেই দুষ্কৃতিকারী বাড়িতে ঢুকে বসেছিল। তিনজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে পুলিশ।