উত্তেজনা আরও বাড়লো মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সিরিয়া এবং ইরাকে। ইরানি লক্ষ্যবস্তুতে একটি সিরিজ হামলা চালাতে এর পরিকল্পনার অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন কর্মকর্তারা-সিবিএস নিউজকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। জানা গেছে, এসব হামলা বেশ কয়েকদিন ধরে চালানো হয়েছে। আবহাওয়া পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে, এসব হামলা চালানো হতে পারে।
এর আগে গত সপ্তাহের রোবাবার জর্ডানে ড্রোন হামলায় তিনজন মার্কিন সেনা নিহত হয়েছেন। এখন পর্যন্ত এ ঘটনার দায় স্বীকার করেনি কোনো গোষ্ঠী বা দেশ। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মনে করছে, এ ঘটনার পেছনে রয়েছে ইরাকভিত্তিক একটি জঙ্গিজোট। এই জঙ্গিজোটের নাম ইসলামিক রেসিসট্যান্স ইন ইরাক। বুধবার (৩১ জানুয়ারি) হোয়াইট হাউজ এ ঘটনার আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ায় এ কথা জানিয়েছে।
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামাসের আকস্মিক হামলার পর ফিলিস্তিনে পাল্টা হামলা চালায় তেল আবিব। এরপর থেকে মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন বাহিনীকে লক্ষ্যবস্তু করে অসংখ্য হামলা হচ্ছে। জর্ডানে মার্কিন বিমানঘাঁটিতে হওয়া হামলাটি এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুতর।
এদিকে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, জর্ডানে যে হামলাটি হয়েছিল সেটির পরিকল্পনা, রশদ যোগান এবং সহায়তা করেছিল ইসলামিক রেসিসট্যান্স ইন ইরাক নামে একটি জঙ্গি জোট। এই জোটে কাতাইব হিজবুল্লাহসহ একাধিক জঙ্গিগোষ্ঠী রয়েছে।
সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে জন কিরবি এ ঘটনার জন্য শুধুমাত্র কাতাইব হিজবুল্লাহকে দায়ী করেননি। তিনি বলেন, জর্ডানে মার্কিন ঘাঁটিতে হামলার জন্য এই একটি জঙ্গি সংগঠনই একা দায়ী নয়।
অন্যদিকে মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন ঘাঁটিতে হামলার জন্য জঙ্গিজোটের পেছনে কলকাঠি নাড়ার জন্য অবশ্য ইরানকে দায়ী করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। ইতোমধ্যে এ ঘটনার প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তবে তিনি সরাসরি ইরানের ভূমিতে আঘাত হানবেন কি না তা নিয়ে দোটানা রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এ ঘটনার প্রতিশোধ হিসেবে ইরানে হামলা না চালিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে তেহরান সমর্থিত বিভিন্ন গোষ্ঠীর উপর চড়াও হতে পারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।