ভারতে লোকসভা নির্বাচনের সময়সূচি ঘোষণা করা হয়েছে। শনিবার (১৬ মার্চ) নির্বাচনের সম্পূর্ণ তফসিল ঘোষণা করে দেশটির নির্বাচন কমিশন (ইসিআই)।
নয়াদিল্লিতে সংবাদ সম্মেলনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) রাজীব কুমার এই নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করেন।
এ তফসিল অনুযায়ী, লোকসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ৭ দফায়। আগামী ১৯ এপ্রিল থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হবে। ভোট গণনা করা হবে ৪ জুন।
বর্তমান লোকসভার মেয়াদ শেষ হবে আগামী জুন মাসে। তার আগে একটি নতুন সরকার গঠন করতে হবে। অন্ধ্রপ্রদেশ, সিকিম, অরুণাচল ও ওড়িশা প্রদেশের বিধানসভার মেয়াদও শেষ হবে জুনে। এই রাজ্যগুলোতেও নির্বাচনের সময়সূচি ঘোষণা করা হয়েছে।
অরুণাচল প্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ১৯ এপ্রিল। ভোট গণনা হবে ৪ জুন। অন্ধ্রপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ১৩ মে।
এবারের লোকসভা নির্বাচনে প্রায় ৯৭ কোটি মানুষ ভোট দেয়ার জন্য যোগ্য। ভোটগ্রহণের জন্য ১০ লাখ ৫০ হাজার ভোটকেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। নির্বাচন হবে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন তথা ইভিএমে। এর জন্য ৫৫ লাখ ইভিএমের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ভারতের এটি ১৮তম লোকসভা নির্বাচন। এবারের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতা নিশ্চিত করতে চায় ক্ষমতাসীন বিজেপি। গত সংসদীয় নির্বাচনে দলটি ৩০৩টি আসন নিশ্চিত করে।
যেখানে কংগ্রেস মাত্র ৫২টি আসন পায়। অর্থাৎ লোকসভায় বিরোধী দলের নেতার পদ দাবি করার মতো পর্যাপ্ত সংখ্যাও অর্জন করতে পারেনি। এবার বিজেপিকে উৎখাত করতে বড় জোট গড়েছে কংগ্রেস।
এদিকে, পশ্চিমবঙ্গে ভোট হবে সাত দফাতেই। পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি বিহার এবং উত্তরপ্রদেশে সাত দফায় ভোট হবে। গত লোকসভা নির্বাচনেও পশ্চিমবঙ্গে সাত দফাতেই ভোট হয়েছিল। প্রথম দফায় কোচবিহার, জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ারে ভোট।
রাজীব কুমার জানান, প্রথম দফার ভোট হবে ১৯ এপ্রিল। দ্বিতীয় দফার ভোট হবে ২৬ এপ্রিল। তৃতীয় দফার ভোট হবে ৭ মে। চতুর্থ দফার ভোট হবে ১৩ মে। পঞ্চম দফার ভোট হবে ২০ মে। ষষ্ঠ দফার ভোট হবে ২৫ মে। সপ্তম দফার ভোট হবে ১ জুন। ৪ জুন ভোটগণনা।
লোকসভা নির্বাচন হবে সাত দফাতে
লোকসভা নির্বাচন সাত দফায় হবে। ১৯ এপ্রিল ভোট শুরু হবে। ৪ জুন গণনা হবে। রাজীব জানান, বিহার, গুজরাত, মহারাষ্ট্র, পশ্চিমবঙ্গ, কর্নাটক, তামিলনাড়ুতে উপনির্বাচন হবে। লোকসভার সঙ্গেই সেই উপনির্বাচন হবে। সিকিম, ওড়িশা, অরুণাচল প্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ— চার রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন হবে লোকসভার সঙ্গে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাজীব আরও জানান, রাজনৈতিক দলগুলিকে নোটিশ পাঠানো হবে। সেখানে নির্বাচন নিয়ে আমাদের নির্দেশিকা থাকবে। যাতে নির্বাচনী আচরণ বিধি বজায় থাকে সে দিকেও নজর রাখা হবে। প্রচারের সময় প্রার্থীরা যাতে কোনও ভাবেই সীমা অতিক্রম না করেন, সে দিকেও নজর দিতে হবে প্রার্থীদেরই। কোনও রকম ভাবে বাজে ভাষার ব্যবহার করা যাবে না। শিশুদের প্রচারের জন্য ব্যবহার করা যাবে না। ২১০০ পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা হচ্ছে। ওই পর্যবেক্ষকদের কাজ হলো সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন হচ্ছে কি না, সে দিকে নজর দেয়া।