বিএনপি-জামায়েতের ডাকা রেল, সড়ক ও নৌপথে তিনদিনের অবরোধ কর্মসূচিতে ঢাকাসহ সারাদেশে পুলিশের পাশাপাশি র্যাব, বিজিবি, আনসার, নৌ পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ, রেলওয়ে পুলিশ ও রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী (আরএনবি) মোতায়েন করা হয়েছে সোমবার রাত থেকে।
গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কে টহল দিচ্ছে বিজিবি। বিশেষ করে ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট, পদ্মা সেতু থেকে যশোর, খুলনা ও বরিশাল , ঢাকা-রংপুর, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে সংশ্লিস্ট এলাকার বিজিবির সেক্টর থেকে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
বিজিবি সদর দপ্তর সূত্র জানায়, সোমবার রাত থেকেই মহাসড়কগুলোতে বিজিবি টহল দিতে শুরু করেছে। মহাসড়কে যানবাহন চলাচলে কেউ যেন প্রতিবন্ধকতা তৈরি করতে না পারে, সেজন্য বিজিবির স্ট্রাইকিং ফোর্সও প্রস্তুত রাখা হয়েছে সংশ্লিষ্ট সেক্টরগুলোতে।
পুলিশের আইজি চৌধুরী আবদুল্লাহ আর-মামুন বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে যেকোনো কর্মসূচিতে কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু অবরোধের নামে ভাংচুর ও ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপের চেষ্টা করলে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রন করবে পুলিশ।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, অবরোধ কর্মসূচিতে কোনো ধরনের নাশকতকামূলক কর্মকানণ্ডের চেষ্টা করা হলে র্যাব সেটা প্রতিহত করবে। র্যাবের চেকপোস্ট থাকবে। স্ট্রাইকিং ফোর্স টহল দিবে। সারাদেশের র্যাবের ১৫ টি ব্যাটালিয়নের সদস্যরা মাঠে কাজ করবে।
সোমবার ডিএমপি’র অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিন এক প্রেসব্রিফিংয়ে বলেন, আমরা রোববার (২৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় জানতে পেরেছি আগামী তিনদিনের জন্য রেল, সড়ক ও নৌপথে অবরোধ কর্মসূচি আসছে। এই অবরোধে নাশকতার সুনিদিষ্ট কোন তথ্য নেই। তবে নাশকতা যে করবে, কিন্ত সমসাময়িক সময়ের ঘটনা তাই ইঙ্গিত দিচ্ছে। কারণ নাশকতার তাদের যে আচরণ তা বলা যায় অবিশ্বাস্য রকমের আচরণ। কাজেই সে শঙ্কা আমাদের আছেই। আমরা সেভাবে নিরাপত্তা পরিকল্পনাও নিয়েছি।
খন্দকার মহিদ উদ্দিন বলেন, ধ্বংসাত্বক কাজ রাজনৈতিক কর্মসূচির অংশ হতে পারে না। যারা কর্মসূচি দিয়েছে, এতে মানুষ সেটার সঙ্গে সায় দেয় সেটি এক কথা। আর যদি সায় দিতে না চায়, তবে তাদের অধিকার প্রটেকশন দিতে হবে। যদি কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে, তবে ঢাকা মহানগর পুলিশ তাদের যে আইনী দায়িত্ব তা তারা প্রয়োগ করবে এবং নগরবাসীকে নিরাপদ রাখার জন্য সর্বাত্বক প্রচেষ্টা রাখবে। নগরবাসি কোন ঘটনা দেখলে বা জানলে বা কোথাও কোন সন্দেহজনক কিছু দেখলে পুলিশে জানাবেন।