১৯৭৫-এ জাতির পিতাকে হত্যা করা পর স্বাধীনতার চেতনা, মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ সবই মুছে গিয়েছিল। আমাদের কবি, শিল্পী, সাহিত্যিক, লেখকরা তাদের লেখনীর মধ্য দিয়ে এ চেতনাকে ধরে রেখেছিলেন। আমরা রাজনীতিবিদরা রাজনীতির মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছিলাম। জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করেছি।
শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেছা মিলনায়তনে চিত্রশিল্পী শাহাবুদ্দিন আহমেদের আঁকা শিল্পকর্ম নিয়ে আয়োজিত ‘শাহাবুদ্দিন : এ রেট্টোস্পেক্টিভ (১৯৭৩-২০২৩)’ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, আমরা বাঙালি, জাতির পিতা আমাদের একটি স্বাধীন দেশ দিয়ে গেছেন। শিল্পী শাহাবুদ্দিন একজন মুক্তিযোদ্ধা। তার তুলিতে উঠে আসে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস।
সরকারপ্রধান বলেন, চিত্রশিল্পীদের তুলির আঁচড়ে ফুটে উঠে আমাদের প্রকৃতি, আমাদের দেশের নানা চিত্র। আমাদের ইতিহাস যেমন ফুটে উঠে, সেইসঙ্গে দরিদ্র মানুষের দৃশ্যগুলো উঠে আসে। আমি ’৯৬ সালে সরকার গঠন করার পর আন্তর্জাতিক চিত্রশিল্পী একটা সম্মেলন করি। সেখানের কয়েকটি শিল্পকর্ম আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করে। আমি নিজেও একটি কিনে নিই। তার সঙ্গে কয়েকটি উপহারও পাই। আমাদের পরিকল্পনা কমিশনে, যেখানে বসে উন্নয়নের পরিকল্পনা করি, সেখানে সেই চিত্রটি লাগিয়ে রেখেছি। আরেকটি আছে গণভবনে। এগুলো আমাদের সঙ্গেই থাকে। আমি যদি না থাকি, এগুলো তুলে নিয়ে যাব– কোনো সন্দেহ নাই।
শেখ হাসিনা বলেন, আমি রেখেছি কেন জানেন? সেখানে কতগুলো ছোট ছোট বাচ্চা রাস্তায় পড়ে আছে। আমি সেখানে বসেই সব সময় আমার সঙ্গে যারা কাজ করে তাদের বলি, এই চিত্র আমি বাংলাদেশ থেকে বদলাতে চাই। আমরা অনেক ক্ষেত্রে সফল হতে পেরেছি। আমাদের মনে রাখতে হবে, শিল্পীর তুলির আঁচড় অনেক শক্তিশালী।