পৌনে পাঁচ লাখ কোটি টাকার বেশি কর আদায়ের লক্ষ্য নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার (৬ জুন) ঘোষণা করা হলো ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব। বিকেলে জাতীয় সংসদে এ বাজেট পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
এটি তার প্রথম বাজেট ঘোষণা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের টানা চতুর্থ মেয়াদের প্রথম বাজেট। বিকেল ৩টায় সংসদে প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করা হয়।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এটি দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বাজেট প্রস্তাব।
প্রস্তাবিত বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বেশ কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য করছাড় সুবিধার কথা জানিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড।
বাজেটে রাজস্ব আয়সহ মোট আয়ের লক্ষ্যমাত্রা থাকছে ৫ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। চলতি ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে যা ছিল ৫ লাখ কোটি টাকা। রাজস্ব প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ৮ শতাংশ। নতুন রাজস্ব প্রাপ্তির মধ্যে বরাবরের মতো এবারও বেশিরভাগ আয় করার দায়িত্বটি দেওয়া থাকবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর)।
বাকি ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা থাকবে। ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) ইতোমধ্যে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বাজেটে মোট ঘাটতি থাকার আশঙ্কা আছে ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকার, যা জিডিপির ৪ দশমিক ৬ শতাংশ। এই বিশাল পরিমাণ ঘাটতি পূরণে কয়েকটি খাতকে উৎস হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রধান হচ্ছে ব্যাংকিং খাত।
আগামী অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ। যা চলতি অর্থবছরে ছিল ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। পরে তা কমিয়ে সাড়ে ৬ শতাংশ করা হয়। অবশ্য বিশ্বব্যাংক পূর্বাভাস দিয়েছে চলতি অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে পারে বড়জোর ৫ দশমিক ৬ শতাংশ। প্রায় কাছাকাছি প্রবৃদ্ধি প্রক্ষেপণ করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)।
অন্যদিকে বাজেট উপস্থাপনের পরদিন অর্থাৎ শুক্রবার (৭ জুন) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বিকেল ৩টায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
এবারের বাজেট বক্তব্যের শিরোনাম- ‘সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অঙ্গীকার’। সাধারণত বাজেট অধিবেশন দীর্ঘ হয়। আগামী ৩০ জুন বাজেট পাস হওয়ার কথা রয়েছে।
নতুন এ বাজেটে সরকার আগের অর্থবছরের (২০২৩-২৪) চেয়ে ৩৬ হাজার কোটি টাকার মতো ব্যয় বাড়াতে চায়। চলতি অর্থবছরের বাজেটের আকার ছিল ৭ লাখ ৬১ হাজার কোটি টাকা।