ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ আলী আরাফাতকে বিজয়ী ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত গেজেটটি প্রকাশ করা হয়।
এতে উল্লেখ করা হয়েছে, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ৩৯ এর ৮ দফা অনুযায়ী, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন জাতীয় সংসদের ঢাকা-১৭ শূন্য আসনের নির্বাচনে জাতীয় সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত প্রার্থীর নাম, পিতার নাম, মাতার নাম ও ঠিকানা প্রকাশ করছে। এক্ষেত্রে গেজেটে প্রার্থীর নামের ঘরে মোহাম্মদ আলী আরাফাত, পিতা নামের ঘরে মোহাম্মদ সেতাব উদ্দিন, মাতা নামের ঘরে হাসিবুন নিসা ও ঠিকানা হিসেবে এপার্টমেন্ট-এ৪, বাসা-১০এ, ৬৯ গুলশান-২ উল্লেখ করা হয়েছে।
গত ১৭ জুলাই এ উপ-নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ওই দিন বিকেলে বনানী বিদ্যা নিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে মারধরের শিকার হন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলম। ওই দিন তিনি নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ এনে আর ভোট করবেন না বলে জানান। এরপর বিদেশি সংস্থা ও রাষ্ট্রগুলো তার ওপর হামলার নিন্দা জানায়। ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয় দেশজুড়ে। প্রধানমন্ত্রীও ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনার নির্দেশনা দেন। ইতিমধ্যে এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মামলার তদন্ত ভার দেওয়া হয়েছে ডিবির ওপর।
এরই মধ্যে গত রোববার (২৩ জুলাই) হিরো আলম ইসিতে গিয়ে ভোট পুনর্বিবেচনার দাবি জানান সিইসির কাছে। একই সঙ্গে নির্বাচন কমিশন কোনো ব্যবস্থা না নিলে তিনি হাইকোর্টে যাবেন বলে সাংবাদিকদের জানান।
হিরো আলমের দাবির দুই দিন পর কমিশন গেজেট প্রকাশ করল। এবার আইন অনুযায়ী হাইকোর্টে যাওয়া ছাড়া তার আর কোনো উপায় নেই। এ ক্ষেত্রে তাকে হাইকোর্টের এ সংক্রান্ত বেঞ্চে অভিযোগ দায়ের করতে হবে।
এ প্রসঙ্গে হিরো আলম বলেন, আমি এখনও গেজেটের কপি পাইনি। কমিশন গেজেট প্রকাশ করলে আমি হাইকোর্টে রিট করব।
উপ-নির্বাচনে একতারা প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আশরাফুল হোসেন আলম (হিরো আলম) পান ৫ হাজার ৬০৯ ভোট। আর নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ আলী আরাফাত ২৮ হাজার ৮১৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন।