আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কোন আসনের প্রার্থী কে, ফলাফল কী, এমন সব তথ্য মোবাইলে অ্যাপের মাধ্যমে জানা যাবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আনিছুর রহমান। এ ক্ষেত্রে নির্বাচন ব্যবস্থাপনা অ্যাপটি কেবল নিজের মোবাইলে ইন্সটল করলেই হবে।
মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) নির্বাচন ভবনে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এসব তথ্য জানান তিনি।
তিনি বলেন, অ্যাপটি প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে। এখন হয়ত প্রকিউরমেন্টে যাবে। এতে শুধু আমরাই নই, ভোটাররা, দল, প্রার্থী, রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসারসহ সাধারণ মানুষেরও প্রবেশাধিকার থাকবে। এখানে নির্বাচনী এলাকা, নাম, নম্বর, প্রার্থীদের দলীয় পরিচয়, প্রতীক, হলফনামা সবই থাকবে। কে কোন এলাকার ভোটার, কোন কেন্দ্রে, কোন কক্ষে ভোট দেবেন গোগল ম্যাপে দেখতে পারবেন। এটার কারিগরি দিক দেখা হচ্ছে। একই সঙ্গে কতজন দেখতে পারবে এগুলোও দেখা হচ্ছে।
ইসি আনিছুর বলেন, কেউ যদি ভোটার নম্বর জানতে চান, তাহলে জানতে পারবে। ঘণ্টায় ঘণ্টায় ভোট পড়ার হার জানতে পারবে। নির্বাচন শেষে কেন্দ্র ভিত্তিক কোন প্রার্থী কত ভোট পেয়েছে, দল ভিত্তিক আসন দেখতে পারবে। ভোটের পরে রেজাল্ট হলে এটাও জানতে পারবে। রিটার্নিং অফিসার এখন যেভাবে দিচ্ছে, সেভাবেই দেবে। এরপর অ্যাপে আপলোড করবে। এখন যেমন আমরা টিভিতে দেখতে পাচ্ছি। তখন ঘরে বসেই সব তথ্য জানা যাবে।
অ্যাপের উদ্দেশ্য প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার বলেন, উদ্দেশ্য হচ্ছে স্বচ্ছতা। এছাড়া কত মানুষের কৌতূহল থাকে। যেমন, কত শতাংশ ভোট পড়েছে সবাই জানতে চায়। অ্যাপটা হলে কিন্তু নিজেই জানতে পারবে। আগামী জাতীয় নির্বাচনে এ অ্যাপটি চালু করতে চাচ্ছি। এরপর স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও হবে। স্থায়ীভাবে কেন্দ্রগুলো এ ডাটাবেজের মধ্যে আনতে চাচ্ছি, যদি প্রাকৃতিক কারণে ভেঙে না যায়, তাহলে এখান থেকেই পরবর্তীতে কেন্দ্র নির্ধারণ করা যাবে, এটা হলো সংসদ নির্বাচনের জন্য। এতে প্রভাব খাটিয়ে সেন্টার পরিবর্তন করার সুযোগ থাকবে না। এছাড়া ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার তথ্য এখানে থাকবে।
তিনি বলেন, অ্যাপের নাম নির্বাচন ব্যবস্থাপনা অ্যাপ। ছয় বছরের জন্য করা যাবে। পরবর্তী সংসদ নির্বাচনও একই অ্যাপে করবে। এরপর যারা কমিশনে আসবেন তারা সিদ্ধান্ত নেবেন কী করবেন। কারণ এর মধ্যে অনেক কিছু হতে পারে। কেননা, প্রতিদিনই প্রযুক্তির আপগ্রেডেশন হচ্ছে। এর মধ্যে হয়ত ই-ভোটিংও হয়ে যেতে পারে। তফসিল, ঘোষণার সময় যাতে এটি কার্যকর থাকে, সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এতে নমিনেশন পেপারও সাবমিট করা যাবে। বর্তমানে অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিল টেস্টিং পর্যায়ে রয়েছে। অ্যাপ ডেভেলপ হয়ে গেছে অলরেডি। দেশীয় প্রতিষ্ঠানই করছে। টেন্ডারের পর পুরো প্রক্রিয়াটি আবার আমরা দেখব।