ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ইতিমধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়ন ফরম বিক্রি শেষ করেছে। এখন দলটির বর্তমান সংসদ সদস্যদের আমলনামা ও গত পাঁচ বছরের কার্যক্রমের মূল্যায়ন চলছে। সেই সঙ্গে দলটির নেতাদের মধ্যে থেকে জনপ্রিয় এবং কর্মীবান্ধবদের খুঁজে বের করা হচ্ছে।
জানা গেছে, যেসব সংসদ সদস্য নেতাকর্মীদের সঙ্গে ভালো আচারণ করেছেন, করোনাকালে এলাকার মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন, জনগণের সঙ্গে সুন্দর সম্পর্ক রেখেছেন এবার তাদেরকে পুরস্কৃত করা হবে।
আরও জানা গেছে, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে যারা এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন তাদের অনেকেই এবার মনোনয়ন পাচ্ছেন না। তাদের মধ্যে ৭ জন সংসদ সদস্য আছেন যারা গত ৫ বছরে দলীয় কাজে ১ দিনও এলাকায় যাননি। গত ৫ বছরে ৩০ দিনও নিজ এলাকায় যাননি এমন সংসদ সদস্যের সংখ্যাও ৭৫ জন। প্রায় ৩৫ জন এমপি ২০-২৫ দিন নিজ নির্বাচনী এলাকায় গিয়েছেন। এছাড়াও নেতাকর্মীদের সঙ্গে অসদাচরণ, করোনাকালে এলাকার মানুষের পাশে না থাকা এমপিরাও মনোনয়ন পাবেন না।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কয়েকজন নেতা জানিয়েছেন, এবার ২২৫ আসনে নির্বাচনের প্রস্তুতি রয়েছে আওয়ামী লীগের। নির্বাচন প্রস্তুতি এমনই যাতে ১৭০-১৮০ আসনে নৌকার বিজয় হয়।
বুধবার (২২ নভেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে বৈঠক বসবে দলটির সংসদীয় বোর্ড। বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দলের আরেকটি সূত্র জানিয়েছে, আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা চলতে পারে তিনদিন ধরে। প্রথম দিনের বৈঠকে খুলনা, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হবে। এরপর পর্যায়ক্রমে বরিশাল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, সিলেট ও সর্বশেষ চট্টগ্রাম বিভাগের প্রার্থী চূড়ান্ত করা হবে। চূড়ান্ত করার পর পূর্ণাঙ্গ প্রার্থী তালিকা আওয়ামী লীগ প্রকাশ করবে। সে ক্ষেত্রে জোটের জন্য ছেড়ে দেয়া আসনগুলো ফাঁকা রাখা হবে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান কাজী জাফর উল্লাহ বলেন, সুনির্দিষ্ট কিছু ক্যাটাগরি ধরে প্রার্থীর যোগ্যতা-অযোগ্যতা বিবেচনায় নেয়া হবে। এত বড় সংগঠন, কোটি কোটি নেতাকর্মীর মধ্য থেকে ৩০০ জন বেছে নেওয়া খুবই কঠিন কাজ। মনোনয়ন বোর্ডের সদস্যরা সে কঠিন কাজ নিয়ে বসতে যাচ্ছেন।