আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৮৭টি আসনে মনোনয়নপ্রাপ্ত প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে জাতীয় পার্টি। এই নামের তালিকায় দলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ ও তার ছেলে সাদ এরশাদের নাম নেই। রওশনের নাম ঘোষণা না হলেও ময়মনসিংহ-৪ আসনটি অবশ্য তার জন্য খালি রাখা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
সোমবার সন্ধ্যায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বনানীর কার্যালয়ে চূড়ান্ত প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে চুন্নু বলেন, ময়মনসিংহ-৪ আসনটি রওশন এরশাদের জন্য খালি রাখা হয়েছে। তার সম্মানার্থে এই আসনে কোনো প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়নি।
জিএম কাদেরের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টির নেতাদের সঙ্গে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদপত্নী রওশনের দ্বন্দ্ব আছে। এর জেরে জাপা থেকে কোনো মনোনয়ন ফরম তিনি কেনেননি।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, রওশন এরশাদ নিজের পাশাপাশি তার পুত্র সাদ এরশাদ এবং ডা. কে আর ইসলামের জন্যও মনোনয়ন ফরম চেয়েছিলেন।
নাম ঘোষণার পর দেখা গেল, রওশনের জন্য একটি আসনে নাম ঘোষণা করা না হলেও তার পুত্র বর্তমান সংসদ সদস্য রাহগির আলমাহি এরশাদ ওরফে সাদ এরশাদের আসনে (রংপুর-৩) মনোনয়ন দেয়া হয়েছে দলের চেয়ারম্যান জিএম কাদেরকে। ঢাকা-১৭ আসনের প্রার্থীও তিনি।
এদিকে, মনোনয়ন পাননি বেশ কজন হেভিওয়েট প্রার্থী। এদের মধ্যে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ রংপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য মসিউর রহমান রাঙ্গার জায়গায় এইচএম শাহরিয়ার আসিফকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। পিরোজপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য রুস্তম আলী ফরাজীর জায়গায় দেয়া হয়েছে মাশরেকুল আজম রবিকে।
৩০০ আসনের মধ্যে খালি রাখা বাকি আসনের গোপালগঞ্জ-২ ও ৩ আসন রয়েছে। জাপা বলছে, এখানে দুজন সম্মানী ব্যক্তি থাকায় তারা প্রার্থী দিচ্ছে না। এই দুই আসনের মধ্যে গোপালগঞ্জ-৩ আসনটি আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।
জাতীয় পার্টি এককভাবে নিজস্ব প্রতীকে নির্বাচন করবে জানিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে চুন্নু বলেন, নির্বাচনি পরিবেশ যদি ভালো থাকে, ভোটাররা ভোট দিতে পারলে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে আমরা ক্ষমতায় আসব। দলের কেউ বিদ্রোহী প্রার্থী হলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেব।