আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এই নির্বাচন আমাদের দেশের ইতিহাসে গণতন্ত্রের অভিযাত্রার মাইলফলক। দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন আগামী ৩০ জানুয়ারি থেকে শুরু হতে যাচ্ছে। শেখ হাসিনার সাহসিকতার কারণে আমরা দাবি করতে পারি যে, দেশে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা রয়েছে। নির্বাচনের পরেও বিএনপির নেতৃত্বে চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা ষড়যন্ত্র করার পাঁয়তারা করছে।
শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিএনপির নির্বাচনে না আসা প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তাদের অনুপস্থিতিতেও কেন্দ্র ভোটারশূন্য হয়নি, অপ্রতিদ্বন্দ্বিতাও হয়নি। পৃথিবীর অধিকাংশ দেশে নির্বাচনে ৪০ শতাংশের উপস্থিতি বেশি হয় না। ইউরোপের অনেক দেশে সব দল নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পরও ২৫-৩০ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়।
তিনি বলেন, বাধা এবং প্রতিকূলতার মুখে নির্বাচনে জনগণের যে অংশগ্রহণ হয়েছে, তা অনেকেই ভাবতে পারেনি। এত অপপ্রচারের পরও ৪২.৮ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়েছে। আমাদের এখানে অগণতান্ত্রিক পন্থায় একটি দলকে ক্ষমতায় বসানোর দেশি-বিদেশি অপতৎপরতা ছিল, এখনো নেই সেটিও বলা যায় না। দেশের জনগণ গণতন্ত্রের অকৃত্রিম পাহারাদার হিসেবে অগণতান্ত্রিক কিছু মেনে নেয়নি, মেনে নেবেও না।
এ সময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া ও উপ দপ্তর সায়েম খান উপস্থিত ছিলেন।