ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার সরকারকে জানিয়ে ভারতে যাননি বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, আমাদের এমপিকে যারা হত্যা করেছে, তারা আমাদের দেশরই লোক। যারা খুন করেছে তাদের বিচারের মুখোমুখি করার কাজ চলছে। এমপি আনার সরকারকে জানিয়ে ভারতে যাননি। আনারের ভারত গমন ও নিখোঁজ সবকিছু নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে।
বুধবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংস্কৃতিবিষয়ক উপকমিটি আয়োজিত ‘সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ’ শিরোনামে সভা শেষে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, কলকাতার নিউটাউনে আমাদের একজন এমপি হত্যাযজ্ঞের শিকার হয়েছেন। দুই তিন দিন ধরে তাকে নিয়ে একটা ধোঁয়াশা ছিল। তার পরিবারসহ কেউ জানেন না। চিকিৎসার জন্য তিনি ভারতে গেছেন। ভারত আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র। আমাদের একজন এমপি যখন চিকিৎসার জন্য যান, তিনি কিন্তু ভারত সরকারকে জানিয়ে যান না। সেখানকার যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে গেলে নিরাপত্তার ব্যাপারটি তখনই দেখা হয়। তার বিষয়টি নিয়ে ধোঁয়াশা ছিল।
এসময়, বিশ্ব রাজনীতির সংকটের ফলে অর্থনীতিতে অভিঘাত এসে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সমসাময়িক রাজনীতির এখন অনেক কিছু শুভকর নয়। বিশ্ব রাজনীতি সংকটের ঘূর্ণাবর্তে আবর্তিত হচ্ছে। আজকে বিশ্ব সংকটের প্রভাবে আমাদের অর্থনীতিতে অভিঘাত এসেছে, যার ফলে দ্রব্যমূল্যর ঊর্ধ্বগতি।
সেনাবাহিনী নিজস্ব নিয়মে চলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেনাবাহিনী দেশের প্রতিরক্ষা বাহিনী। তাদের আলাদা নিয়ম কানুন আছে তারা সেভাবে চলে। সেখানে কেউ কোন অপরাধ করে থাকে সেটা প্রমাণিত হলে সেটা ছাড় দেয়ার লোক বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা নন।
সেতুমন্ত্রী বলেন, ডোনাল্ড ল্যু এসে সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাবার কথা বলে যেতে না যেতেই নিষেধাজ্ঞা এসে গেল। আগে সাতজন, এখন একজন। গাজায় এই নিষ্ঠুর বর্বরোচিত ভূমিকাকে যারা গণহত্যা বলতে চায়না, তারা কোথায় কাকে নিষেধাজ্ঞা দিলো সেটা নিয়ে আমাদের কোনো মাথাব্যথা নেই।
সভায় সভাপতিত্ব করেন মঞ্চ সারথি আতাউর রহমান চেয়ারম্যান, সংস্কৃতি বিষয়ক উপ-কমিটি আওয়ামী লীগ। এতে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য নায়ক ফেরদৌস, সাবেক সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য আনিসুর রহমান।