কলেজের সহপাঠির সঙ্গে প্রায় তিন বছর ধরে প্রেম করে বিয়ে করেছিলেন জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার যুবক ইশান মাহমুদ শ্রাবণ (২১)। পরে নিজেরা আদালতের মাধ্যমে বিয়েও করেছিলেন।
তবে পরিবার গরিব হওয়ায় সেই বিয়ে একমাসও স্থায়ী হয়নি। ১০ দিনের মাথায় ডিভোর্স দিয়েছেন স্ত্রী। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে এক মণ দুধ দিয়ে গোসল করে প্রেমে জড়ানো এবং বিয়ে না করার শপথ নিয়েছেন ওই যুবক।
স্থানীয় ও পরিবার সূত্র জানা যায়, ইশান সদর উপজেলার শরিফপুর ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে। তবে ছোটবেলা থেকে তিনি নানাবাড়ি থেকে লেখাপড়া করতেন। এসএসসি পাসের পর নিজ গ্রাম মির্জাপুর ফিরে আসেন। পরে নান্দিনা এলাকার শেখ আনোয়ার হোসেন কলেজে ভর্তি হন। এসময় স্থানীয় এক তরুণীর সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
তিন বছর প্রেমের পর গত ২৯ অক্টোবর জামালপুর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এফিডেভিটের মাধ্যমে বিয়ে করেন তিনি। বিয়ের বিষয়টি জানাজানি হলে মেয়ের পরিবার ইশানের বাড়িতে আসে। কিন্তু তাদের আর্থিক অবস্থা ভালো না হওয়ায় বিয়ে মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানায় মেয়ের পরিবার। একপর্যায়ে বুধবার (৮ নভেম্বর) ইশানকে ডিভোর্স দেন তার স্ত্রী।
এ ঘটনায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন ইশান। এরপর তাকে নানাবাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়। সেখানেই শুক্রবার বিকেলে এক মণ দুধ দিয়ে গোসল করে প্রেমে না জড়ানো এবং বিয়ে না করার শপথ নেন তিনি।
ইশান মাহমুদ গণমাধ্যমকে বলেন, বিয়ের মাত্র ১০ দিনের মাথায় তাকে ডিভোর্স দিয়েছেন স্ত্রী। এ স্মৃতি নিয়ে সারাজীবন কাটিয়ে দিতে চান তিনি। তবে তিনি নিজের ভুল শুধরে নিয়েছেন। সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জীবনে আর প্রেম এবং বিয়ে করবেন না। একইসঙ্গে প্রাক্তন স্ত্রীকে ‘ক্ষমা করে’ দিয়ে তার প্রতি কোনো অভিযোগ নেই বলেও জানান এ যুবক।
কুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম গণমাধ্যমকে বলেন, বিষয়টি তিনি শুনেছেন। ফেসবুকে এ-সংক্রান্ত ভিডিওটি দেখেছেন।
সদর উপজেলার শরিফপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলম আলী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি এলাকার বাইরে আছি। ঘটনা নিজ চোখে দেখিনি। তবে লোকমুখে এবং ফেসবুকের মাধ্যমে জেনেছি।’