আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল, রামগড় উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেষ হাসিনা।
মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) সকালে সারাদেশের ১০ হাজার ৪১টি অবকাঠামোর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও উদ্বোধন অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত দেশের ১৫তম ও পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রথম রামগড় স্থলবন্দরের আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল, রামগড় উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
২০১৫ সালের ৬ জুন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রামগড়ের মহামুনী এলাকায় ফেনী নদীর ওপর ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সেতু-১-এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন এবং ২০২১ সালের ৯ মার্চ ১৩৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪১২ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ১৪. ৮০ মিটার প্রস্থ সেতুটির উদ্বোধন করেন।
রামগড় স্থলবন্দরটি পুরোপুরি চালু হলে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে প্রায় ১১২ কিলোমিটার দূরত্বের এই স্থলবন্দর ব্যবহার করে মাত্র তিন ঘণ্টায় চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ট্রান্সশিপমেন্টের পণ্য যেতে পারবে ভারতে। দেশটির সেভেন সিস্টার্স খ্যাত উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় ত্রিপুরা রাজ্যসহ মেঘালয়, আসাম, মণিপুর, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড ও অরুণাচলের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন হবে এই বন্দর দিয়েই। একইসঙ্গে রামগড় স্থলবন্দর ব্যবহার করে চট্টগ্রাম বন্দর হয়ে পণ্য পরিবহন করতে পারবেন ভারতীয় ব্যবসায়ীরা। এতে চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামে ব্যবসা-বানিজ্য, শিক্ষা, চিকিৎসাসহ পর্যটনে ব্যাপক পরিবর্তনের আশা করা হচ্ছে।
ইতোমধ্যে রামগড় স্থলবন্দর দিয়ে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম চালুর লক্ষ্যে টার্মিনাল শেড, ব্যাংক, কাস্টমস, বিজিবি ও পুলিশের সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।তবে, ভারতের ত্রিপুরা সাবরুম অংশের ইমিগ্রেশন প্রস্তুতি ও অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত ইমিগ্রেশন কার্যক্রম শুরু হচ্ছেনা বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল, রামগড় কর্তপক্ষ।
-তুহিন নিজাম