ফেনীর মহিপালে দাঁড়িয়ে থাকা সুগন্ধা পরিবহনের একটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। রোববার (১৯ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে মহিপাল ফ্লাইওভারের উত্তরাংশে এ ঘটনা ঘটে। তবে ঘটনাস্থলে সিসি ক্যামেরা থাকলেও এসময় রহস্যজনকভাবে বন্ধ ছিল সেটি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, মহিপাল ফ্লাইওভারের উত্তরাংশে দাঁড়িয়ে থাকা নোয়াখালী রুটে চলাচলকারী সুগন্ধা পরিবহনের তালাবদ্ধ একটি বাসে হঠাৎ কে বা কারা আগুন ধরিয়ে দেয়। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
ফেনী-খাগড়াছড়ি আন্তঃজেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি মামুন চৌধুরী এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় হরতাল সমর্থকদের দায়ী করেছেন।
সুগন্ধা পরিবহনের দায়িত্বরত লাইনম্যান আমির হোসেন বলেন, আগুন লাগার মুহূর্তের মধ্যেই সব শেষ হয়ে গেছে। এতে প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। শুরুতে শ্রমিকরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করলে প্রশাসনের লোকজন দুর্বৃত্ত মনে করে তাদের ধাওয়া করে। এতে বাসটি আরও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে ফেনী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলাল বলেন, বিএনপিকে জড়িয়ে এ ধরনের অভিযোগ ভিত্তিহীন। কয়েকদিন আগে লালপুলে অগ্নিসংযোগের ঘটনায়ও যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার হয়েছে। এসব ঘটনা কারা ঘটাচ্ছে তা সাধারণ মানুষ জানে। ঘটনাস্থলে সিসি ক্যামেরা বন্ধ আবারও প্রমাণ করে সরকার দলীয়দের নাশকতার চিত্র।
সিসি ক্যামেরা বন্ধ থাকার কারণ জানতে চাইলে বাস মালিক সমিতির সভাপতি মামুন চৌধুরী বলেন, ঘটনাস্থলে সিসি ক্যামেরা থাকলেও কে বা কাহারা সিসি ক্যামেরার আইপি হ্যাক করেছে। সেজন্য ক্যামেরা বন্ধ ছিল।
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম চৌধুরী এ ব্যাপারে বলেন, মহিপাল এলাকায় আমরা নজরদারি বাড়িয়েছি। দুর্বৃত্তদের চিহ্নিত করার জন্য আশপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পাওয়া যায়নি। ওই এলাকায় একটি দোকানে ক্যামেরা থাকলেও আজ দুপুর থেকে সেটি নষ্ট হয়ে গেছে। এ ঘটনায় যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।