আগামীকাল ৮ই ডিসেম্বর। রামগড় হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও এদেশীয় দোসরদের সহায়তায় রামগড় উপজেলার ক্যাম্প অগ্নিসংযোগ, লুটপাট বহু নারীকে ধর্ষণসহ হাজার হাজার নিরীহ জনসাধারণকে নৃশংসভাবে হত্যা করে।
রামগড়ের স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও প্রত্যক্ষদর্শীরা এ প্রতিনিধিকে বলেন, ১৯৭১ সালে যুদ্ধকালীন সময়ে গেরিলা কৌশলে যুদ্ধ পরিচালনার জন্য গোটা বাংলাদেশকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছিল তার মধ্যে ১নং সেক্টরের আওতাধীন বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের অবস্থিত পার্বত্য অঞ্চলে রামগড় ছিল অত্যাধিক গুরুত্বপূর্ণ সেক্টর।
দীর্ঘ ৯ মাসের সংগ্রামী মুক্তিযুদ্ধের লড়াইয়ের পর পাক-হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসরদের পতনের পর ৮ ডিসেম্বর পড়ন্ত বিকেলে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও বাংলাদেশ আ.লীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য প্রয়াত সুলতান আহম্মেদ মুক্তিকামী বাঙালিদের নিয়ে রামগড় প্রধান ডাকঘরের শীর্ষে লাল-সবুজের পতাকা উত্তোলন করে রামগড়কে হানাদার মুক্ত ঘোষণা করেন।
স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ১নং সেক্টরের কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা হেমদারঞ্জন ত্রিপুরা, বীর মুক্তিযোদ্ধা ছালেহ্ আহম্মেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা কালাচান দেববর্মন বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের সেই উত্তাল দিনগুলোতে রামগড়ের মানুষ গড়ে তুলেছিল সংগ্রাম কমিটি। উপজেলা প্রশাসন এ প্রতিনিধিকে জানান, রামগড় হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পরিষদ সম্মেলন সংলগ্ন আনুষ্ঠানিকতার মধ্যেদিয়ে বেলুন উড়ানো ও বর্ণাঢ্য র্যালির আয়োজন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতা আফরিন।