খাগড়াছড়ির জেলার রামগড় পৌরসভার তিন নং ওয়ার্ডের উত্তর গর্জন তলীর বিধবা শুকলা পালের একমাত্র বসত ঘরটি আগুনে পুড়ে ছাঁই হয়ে গেছে। মাথা গোঁজার শেষ অবলম্বনটি ভস্মীভূত হওয়ায় অসহায় এ মহিলা এখন দিশেহারা।
শুক্রবার (৫ জানুয়ারী ২৪) রাত সাড়ে দশটার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয়রা জানায়,শুক্রবার রাত সাড়ে দশটার দিকে গর্জনতলীর মৃত সমর পালের স্ত্রী শুকলা পাল রান্না ঘরে ছেলে অনয়পালসহ রাতের খাবার খেতে যায়। খাওয়া শেষ করে ছেলে অনয় ঘরে ঢুকে আগুন দেখতে পায়। ছেলের চিৎকারে আশপাশের মানুষ এসে আগুন নিভানোর চেষ্টা করে এবং ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে খবর দেয়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।ততক্ষনে ঘরের আসবাবপত্রসহ সব জিনিসপত্র পুড়ে ছাঁই হয়ে যায়।
স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিল মোঃ জিয়াউল হক জিয়া বলেন, আগুন লাগার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক সেখানে গিয়ে পরিবারটি পাশে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেই। তিনি আরও বলেন,সংবাদ পেয়ে রামগড় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বিশ্ব প্রদীপ কুমার কারবারি, পৌর মেয়র মোঃ রফিকুল আলম কামাল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অসহায় পরিবারটিকে সান্তনা দেন এবং নগদ অর্থ ও শীতবস্ত্র দিয়ে সহায়তা করেন। পরবর্তীতেও পরিবারটিকে সহযোগীতা প্রদানের আশ্বাস দেন জনপ্রতিনিধিবৃন্দ।
রামগড় ফায়ার স্টেশনের ওয়্যার হাউজ ইনস্পেক্টর ইফতেখার উদ্দিন বলেন, আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। আগুন লাগার প্রকৃত কারণ জানা যায়নি। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে।
এদিকে আগুনের লেলিহান শিখায় ঘরে থাকা একটি মোটরসাইকেলসহ সব আসবাবপত্র পুড়ে প্রায় ৫ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান শুকলা পাল। মাথা গোঁজার ঠাঁই একমাত্র বসতঘরটিসহ সর্বস্ব হারিয়ে এ অসহায় বিধবা মহিলা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
-মোঃ মোজাম্মেল হোসাইন