খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ সুপার জনাব মুক্তা ধর পিপিএম (বার) এর উদ্যোগে খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশের সকল অফিসার ও ফোর্সদের মনোবল বৃদ্ধির ও কর্মদ্দীপ্ত করার লক্ষ্যে প্রীতিভোজ, ফুটবল ম্যাচ এবং সান্ধ্যকালীন “মুজিব একটি জাতির রূপকার” মহাকাব্যিক জীবনী সংক্রান্ত চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে।
জেলা পুলিশ লাইন্সের সকল পদমর্যাদার পুলিশ সদস্যদের অংশগ্রহণ ও উপস্থিতিতে পুলিশ লাইন মেসে একই টেবিলে প্রীতিভোজে অংশগ্রহণ করেন খাগড়াছড়ি জেলার পুলিশ সুপার জনাব মুক্তা ধর পিপিএম (বার)।
এসময় তিনি উপস্থিত ফোর্সদের নিকট গিয়ে তাদের সুবিধা অসুবিধা সমূহ সম্পর্কে জ্ঞাত হোন এবং তাদের অসুবিধা সমূহ অচিরেই সমাধান করবেন বলে আশা ব্যক্ত করে বলেন, ফোর্সের সর্বোচ্চ কল্যাণ সাধনে আমি বদ্ধপরিকর।
প্রীতিভোজ সমাপ্তিতে অফিসার ও ফোর্সদের মাঝে একটি প্রীতি ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করা হয় এবং ম্যাচ সমাপ্তিতে জয়ী ও রানার্সআপ ফুটবল টিমের মাঝে ট্রফি বিতরণ করেন জেলা পুলিশ সুপার মহোদয় এবং সকল খেলোয়াড় এবং খেলা পরিচালনায় সংশ্লিষ্ট সকলকে শুভেচ্ছা উপহার প্রদান করেন।
এছাড়াও সকল পুলিশ সদস্যদের মাঝে দেশাত্মবোধ অটুট ও বৃদ্ধির প্রয়াসে এবং দেশ স্বাধীন এর মহা নায়কের জীবনী চিত্র তুলে ধরতে খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ লাইন্সের ড্রিল সেডে “মুজিব একটি জাতির রূপকার” মহাকাব্যিক জীবনী সংক্রান্ত চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার জেলা প্রশাসক জনাব সহিদুজ্জামান ও তার সহধর্মিণী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) জনাব মোঃ জসীম উদ্দিন পিপিএম, খাগড়াছড়ি সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জনাব মোঃ তফিকুল আলম, সহকারী পুলিশ সুপার (এসএএফ) জনাব সৈয়দ মুমিদ রায়হানসহ জেলা পুলিশের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে জেলা প্রশাসক জনাব সহিদুজ্জামান বলেন, বঙ্গবন্ধু মানে হচ্ছে মনের ভেতর ইচ্ছে শক্তি জাগানোর একটি প্রতীক। যিনি ছিলেন বাঙ্গালীর সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ নেতা। তার জন্যই হয়তো আমাদের এই বাংলাদেশকে পাওয়া। তিনি না থাকলে হয়তো আমরা এই দেশকে আজ স্বাধীনভাবে পেতাম না। তার মত নেতা হয়তো আমাদের দেশে কোনদিন আর জন্মাবে না কিন্তু তিনি আমাদের হৃদয়ে থেকে যাবে চিরন্তন।
সমাপনী বক্তৃতায় জেলা পুলিশ সুপার জনাব মুক্তা ধর পিপিএম (বার) বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ইতিহাস মানে স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাস। তার জীবন ইতিহাসের সাথে স্বাধীন বাংলার ইতিহাস জড়িত। এই মহান মানুষটি জীবনে যাই করেছেন তার সবই দেশের মানুষের জন্য করেছেন। তার প্রত্যেকটা পদক্ষেপ ছিল দেশের স্বার্থে। তার জন্ম না হলে হয়তো আজকের এই স্বাধীন বাংলাকে কেউ চিনতো না। তার দুরদর্শি দিক-নির্দেশনায় বাংলার দামাল ছেলেরা ঝাপিয়ে পড়ে দেশ স্বাধীন এর লক্ষ্যে। তারই ফলশ্রুতি আজকের এই স্বাধীন বাংলাদেশ। যা সারা বিশ্বের কাছে এখন উন্নয়নের রোল মডেল।