রামগড়ে পার্বত্য জেলা শিশু উন্নয়ন প্রকল্প- বিডি-০৫১৫ এর বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা আয়োজনে রেজিষ্টার্ডকৃত শিশু ও আইজিপি এবং লাইভলিহুড প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে. শিক্ষা সামগ্রী, ল্যাপ্টপ, সবজি বীজ, ছাগলসহ বিভিন্ন উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়। পরে সুইনুপ্রু মারমার পরিচালনায় প্রতিষ্ঠানের নৃত্য শিল্পীরা নৃত্য প্রদর্শণ করে।
বুধবার (২০ মার্চ) আগাপে হলরুম প্রাঙ্গণে কম্প্যাশন ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-এর সহযোগিতায় প্রধান অতিথি থেকে উপহার সামগ্রী বিতরণ করেন রামগড় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মমতা আফরিন।
অনুষ্ঠানে রামগড় বিডি- ৫১৫ এলসিসি চেয়ারম্যান জর্জ মধু ত্রিপুরা’র সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন কম্প্যাশন ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এর প্রজেক্টস কো- অর্ডিনেটর লূক ব্রাইটওয়েল খ্কসী, উপজেলা কৃষি বিদ ও কৃষি অফিসার মিজানুর রহমান, প্রতিষ্ঠানের সদস্য ফিলিফস হালদার। এতে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকক্ট্রনিক মিডিয়ার সংবাদকর্মী, প্রকল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং নিবন্ধীত শিশু ও তাদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে প্রকল্প ব্যবস্থাপক অজয় ত্রিপুরা বলেন, ‘কম্প্যাশন ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-এর অর্থায়ণে আগাপে’র পার্টনারশীপে পরিচালিত ‘পার্বত্য জেলা শিশু উন্নয়ন প্রকল্প’এর রামগড়ে ১টি কেন্দ্র রয়েছে। তিনি আরও বলেন, পার্বত্য জেলা শিশু উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ১টি কেন্দ্রে ২৬২ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। এই প্রকল্পের লক্ষ্য হলো শিশুদের দারিদ্রতা মুক্ত করা ও প্রাকৃতিক, সামাজিক ও মানব সম্পদ সুষ্ঠ ব্যবহারের মাধ্যমে কাংক্ষিত জনগোষ্ঠীর জন্য একটি স্থায়ী ও টেকসইমূলক আর্থ-সামাজিক অবস্থার পরিবর্তন করে উন্নয়ন সাধন করা। রামগড় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মমতা আফরিন বলেন, পার্বত্য জেলা শিশু উন্নয়ন প্রকল্প-রামগড়, বিডি-০৫১৫ এর বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা হিসেবে রামগড় উপজেলায় সুশৃঙ্খল ও সুনামের সাথে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, সরকারের উন্নয়নের পাশাপাশি বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থাগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে আর সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দেশের উন্নয়ন তরান্বিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠান শেষে ২৬২জন শিশুকে স্কুল জুতা- ড্রেস- শিক্ষা সামগ্রী, স্বাস্থ্য সামগ্রী এবং ২জন আইজিপি প্রশিক্ষণার্থীদের ল্যাপটপ, স্যানিটারী লেট্রিন ৬জন ও অন্যান্য সামগ্রীসহ লাইভলিহুড ৯জন প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে ছাগল,বিভিন্ন সবজি বীজ ৯জনকে বিতরণ করেন অতিথি বৃন্দ।
-নিউজ: রতন বৈষ্ণব ত্রিপুরা ও মো: নিজাম তুহিন।