রতন বৈষ্ণব ত্রিপুরা, রামগড় খাগড়াছড়ি থেকে: বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী শুক্রবার (২২ মার্চ) বিকাল সাড়ে ৪টায় বিজিবি’র সূতিকাগার ঐতিহ্যবাহী রামগড় ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তর, বিশেষ ক্যাম্প, বিজিবি স্মৃতিস্তম্ভ, আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল আইসিপি চেকপোস্ট সহ রামগড় স্থলবন্দর ও বাংলাদেশ ভারত মৈত্রী সেতু ১ সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি আভিযানিক কার্যক্রম পরিদর্শনের পাশাপাশি সৈনিকদের সাথে কুশল বিনিময় এবং বিভিন্ন দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। পরে রামগড় লক টেনিস মাঠে আড়াইশ জন অসহায়, দুস্থদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন।
পরিদর্শনকালে তিনি বলেন, ১৭৯৫ সালের রামগড় লোকাল ব্যাটালিয়নের জন্মস্থান রামগড়। ২২৮ বছরের ঐতিহ্যবাহী বিজিবি’র জন্মস্থানের স্মৃতিস্তম্ভ পরিদর্শন কালে তিনি বলেন, আজ নিজেকে সৌভাগ্যবান বলে মনে করেন তিনি বলেন। এসময় ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধা সহ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর প্রতি স্মৃতিচারণ করে শহীদদের আত্মার শান্তি কামনা করেন।
এসময় বিজিবি দক্ষিণ পূর্ব চট্টগ্রাম রিজিয়নের রিজিয়ন কমান্ডার সাজেদুর রহমান,ব্রি:জেনারেল এডিজি ঢাকা আনোয়ার হোসেন, গুইমারা বিজিবি সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল এসএম আবুল এহসান, খাগড়াছড়ির ডিজিএফআইয়ের ডেট অফিসার কর্ণেল আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ আরিফ, রামগড় ব্যা: (৪৩ বিজিবি) জোন অধিনায়ক লে: কর্ণেল সৈয়দ ইমাম হোসেনসহ অন্যান্য অফিসারসহ ঢাকা রাজধানী ও জেলা – উপজেলার স্থানীয় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য- ১৭৯৫ সালের ২৯ জুন ৪৪৮ জন সদস্য নিয়ে রামগড় লোকাল ব্যাটালিয়নের যাত্রা শুরু হয়। ছয় রাউন্ড গোলা, চারটি কামান ও দুটি অনিয়মিত অশ্বারোহী দল নিয়ে বাহিনীটি কাজ শুরু করে। মহান মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য এ বাহিনীর ১৪২ জন সদস্য জাতীয় বীরত্বপূর্ণ খেতাবে ভূষিত হয়েছেন, যার মধ্য মরণোত্তর বীর উত্তম খেতাবে ভূষিত হয়েছিলেন ৯ জন, বীর বিক্রম খেতাবে ভূষিত হয়েছিলেন ৪০ জন এবং বীর প্রতীক খেতাবে ভূষিত হয়েছিলেন ৯১ জন। যা আজো রামগড়ে জনসাধারণ গর্ববোধ ও বিশ্ব দরবারে মূখ উজ্জ্বল করে চলেছে।