নিউজ ডেস্ক: রামগড়ে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে ২৪/৭(সার্বক্ষনিক) স্বাভাবিক প্রসব সেবা জোরদারকরণ বিষয়ক অবহিত করণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রামগড় উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের আয়োজনে ও এমসিএইচ -সার্ভিসেস ইউনিট, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নে মঙ্গলবার ৪ জুন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পাহাড়াঞ্চল কৃষি গবেষণা সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এ অবহিত করণ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্যে রাখেন, খাগড়াছড়ি জেলা উপ-পরিচালক (স্থানীয় সরকার)এর উপসচিব নাজমুল আরা সুলতানা।
এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতা আফরিন এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি থেকে সেবা নিশ্চিতকরণ বিষয়ে উপস্থাপন করেন খাগড়াছড়ি জেলার পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ- পরিচালক ফারুক আবদুল্লাহ।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্যদেন খাগড়াছড়ি জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের সহকারি পরিচালক আব্দুল মান্নান, খাগড়াছড়ি জেলার পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের (সিসি)সহকারী পরিচালক ডা. সুভাষ বসু চাকমা প্রমূখ। পরে উন্মূক্ত আলোচনায় বক্তব্যে রাখেন স্থানীয় সিনিয়র সাংবাদিক নিজাম উদ্দিন লাভলু, উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ ইলিয়াস, সমাজসেবা কর্মকর্তা আজিজুর রহমান আন্জুম, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মো: জাহাঙ্গীর আলম, আইসিটি কর্মকর্তা রেহান উদ্দিন।
এ ছাড়াও সভায় জনপ্রতিনিধি, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক, পরিবার কল্যাণ সহকারীসহ গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় বক্তারা বলেন, বর্তমানে দেশে ৬৫ শতাংশ প্রসব স্বাস্থ্যসেবা প্রদান সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে সম্পন্ন হচ্ছে। আর ৩৫ শতাংশ প্রসব এখনো বাড়িতেই সম্পন্ন হচ্ছে। বাড়িতে সন্তান প্রসবের কারণে প্রসূতি মা ও নবজাতকের স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট জরুরি সেবা মিলছে না। ফলে শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হারকে লক্ষিত সূচকে নিয়ে আসা সম্ভব হচ্ছে না।
এজন্য বাড়িতে সন্তান প্রসবের হার শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার তাগিদ দিয়ে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে শতভাগ সন্তান প্রসব নিশ্চিত করতে সবার প্রতি আহবান জানানো হয়। কারণ প্রাতিষ্ঠানিক প্রসব সেবা গ্রহণের ফলে প্রসূতি মা ও নবজাতকের মৃত্যুঝুঁকি কমানোর পাশাপাশি প্রসবপরবর্তী জটিলতা নিরসন করা সম্ভব হয়। এজন্য সরকার ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে প্রয়োজনীয় সুবিধাদি নিশ্চিত করাসহ সংশ্লিষ্টদের ফিল পর্যায়ে বিশেষ ভূমিকা রাখার আহবান জানান।