রতন বৈষ্ণব ত্রিপুরাঃ
শিক্ষকতা জীবনে আজগর আলী'র আজ শেষ কর্ম দিবসে প্রিয় শিক্ষার্থী, সহকর্মী- উপস্থিত অতিথি বৃন্দ অশ্রুসিক্ত নয়নে বিভিন্ন উপহার সামগ্রী ও ফুলের শুভেচ্ছায় বিদায় জানান।
কর্মময় জীবন থেকে অবসরের মাধ্যমে দীর্ঘ ৩৭ বছরের শিক্ষকতা পেশার সমাপ্তি হলো প্রধান শিক্ষক আজগর আলী'র। তিনি ২০০৮ সালের ২০ মার্চ উপজেলার রামগড় বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। আজ তাঁর কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পাঠদানের শেষ কর্মময় জীবনের ইতি টানলেন। 
রামগড় বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আজগর আলী'র বিদায়ী অনুষ্ঠান উপলক্ষে রবিবার (৩ আগষ্ট) দুপুরে বিদ্যালয়ের হলরুমে এক বিদায় সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়।
এসময় প্রিয় শিক্ষককে বিদায় দিতে সকাল থেকেই শিক্ষার্থীরা স্কুলে হাজির হয়ে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা নিবেদন করেন। শিক্ষার্থী ও সহকর্মী এবং অতিথি সবাই অশ্রুসিক্ত। বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে সৃষ্টি হয় এক আবেগঘন পরিবেশ।
বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির থেকে বক্তব্য রাখেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম। সহকারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হ্যাপি চাকমা এর সভাপতিত্বে ও রাবাসপ্রা বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা জয়শ্রী মজুমদার এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্যে রাখেন, রা,বা,উ, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাজমুল হুদা, রামগড় পৌর বিএনপি'র সভাপতি মো. বাহার উদ্দিন, রামগড় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. নিজাম উদ্দিন, পাতাছড়া স. প্রা. বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রুম্রচাই কারবারী, চৌধুরীপাড়া স. প্রা. বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ জসিম উদ্দিন, বিদ্যালয়ের শিক্ষক অভিভাবক কমিটির সভাপতি আনন্দ মোহন ত্রিপুরা প্রমূখ। মানপত্র পাঠ করেন রা,বা,উ,বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী এবং অত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তন শিক্ষার্থী আদ্রিতা দাস শ্রেয়া।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, আজগর আলী শুধু শিক্ষকই ছিলেন না, একজন যোগ্য অভিভাবকও ছিলেন। তাঁর সততা, মহত্ব ও কর্মকুশলতা আমাদের গর্বের। এতোটা সময় আমাদের সঙ্গে ছিলেন যার অনেক স্মৃতি রয়েছে । তিনি একজন আদর্শ শিক্ষক হিসেবে সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। মহান এই পেশায় ৩৭ বছর ৭ মাস ২২ দিন ধরে তিনি শিক্ষকতা পেশায় উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয় শিক্ষকতা করেছেন। এই মহান পেশায় যুক্ত থাকায় আদর্শ শিক্ষার্থী গড়ার পাশাপাশি বিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়নেও রয়েছে অফুরন্ত সহযোগিতা। বিদায় বেলায় তাঁর সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন।