কুমিল্লার দাউদকান্দিতে মরিয়ম আক্তার নামে ৭ বছরের এক শিশুকে হত্যার দায়ে স্বামী-স্ত্রীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ৩০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দেন
মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) দুপুরে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৫ম আদালতের বিচারক জাহাঙ্গীর হোসেন এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার সদর উপজেলার ভাদুঘর পূর্বপাড়ার মৃত শাহআলমের ছেলে মো. এনামুল এলাহী শুভ ও তার স্ত্রী মোছা. নাদরাতুল নাঈম আহমেদ (২২)।
কুমিল্লার অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মামলার বরাত দিয়ে তিনি জানান, শিশু মরিয়ম কাজ করতেন এনামুল এলাহীর বাড়িতে।২০২০ সালের ২৭ অক্টোবর দিবাগত রাত ২টার সময় শিশু মরিয়মকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে হত্যা করেন এনামুল এলাহী শুভ ও তার স্ত্রী। পরে তিনি শিশু মরিয়মের মরদেহ চাদর দিয়ে পেঁচিয়ে রাখেন।
পরদিন প্রাইভেট কারে এনামুল ও তার স্ত্রী শিশু মরিয়মের মরদেহ তার গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যান। এ সময় মরিয়মের পরিবারের লোকজন মরদেহের শরীরের বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য ছিদ্র, চামড়া ছোলা ও কালচে জখম দেখে হোসেনপুর থানা পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ এসে স্বামী-স্ত্রীকে আটক করেন। এ ঘটনায় ২০২০ সালের ২৯ অক্টোবর নিহত মরিয়মের বাবা বাদী হয়ে মোছা. নাদরাতুল নাঈম আহমেদ ও মো. এনামুল এলাহী শুভ কে আসামি করে দাউদকান্দি মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) রাজীব কুমার সাহা ঘটনার তদন্তপূর্বক আসামি নাদরাতুল নাঈম আহমেদ ও মো. এনামুল এলাহী শুভ এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষে আনীত অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়। পরে ৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় উভয়ের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত।