বাজারে ঝড় তুলেছে ফ্লেক্সিবল ডিসপ্লের সাথে ফোল্ডেবল স্মার্টফোনগুলো। তবে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো এর পাশাপাশি নতুন ধরনের ফর্ম ফ্যাক্টরের উপরও পরীক্ষা করছে। এর মধ্যে অন্যতম হল রোলেবল স্ক্রিন যুক্ত ডিভাইস।
চীনের জনপ্রিয় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ভিভো এবং ট্রানজিয়ন বিশ্বের প্রথম রোলেবল স্ক্রিনের স্মার্টফোন বাণিজ্যিকভাবে উন্মুক্ত করার পরিকল্পনা করছে। আগামী বছরের শেষ দিকে ফোনগুলো বাজারে আসতে পারে।
রোলেবল স্মার্টফোন কী?
রোলেবল স্মার্টফোন হল এমন একটি ডিভাইস, যা সাধারণ স্পর্শে স্ক্রিনের আকার প্রসারিত করতে পারে। অর্থাত্ ব্যবহারকারীরা প্রয়োজনের সময় বড় ডিসপ্লে উপভোগ করার পাশাপাশি, বহন করা ও হাতে ধরার সুবিধার জন্য ডিসপ্লের আকার ছোট করতে পারেন। এটি ভবিষ্যতের স্মার্টফোন ভাবনার আভাস দেয়। যেখানে ডিভাইসগুলো ব্যবহারকারীর প্রয়োজনের সাথে খাপ খাওয়াতে পারবে।
ট্রানজিয়ন রোলেবল ফোনের সেগমেন্টে তাদের ভবিষ্যত পরিকল্পনা সম্পর্কে বেশ আশাবাদী। এর আগে বিভিন্ন নির্মাতা অসংখ্য রোলেবল কনসেপ্ট ফোন এবং ডিসপ্লে প্রদর্শন করেছে। যেমন- গত সেপ্টেম্বরে, টেকনো ফ্যান্টম আলটিমেট নামের ফোনটির রোলযোগ্য স্ক্রিনের কনসেপ্ট প্রকাশ্যে নিয়ে আসে। এই কনসেপ্ট অনুযায়ী ফোনে এমন একটি স্ক্রিন রয়েছে যা মাত্র ১.৩ সেকেন্ডের মধ্যে ৬.৫৫ ইঞ্চির থেকে প্রশস্ত হয়ে ৭.১১ ইঞ্চিতে প্রসারিত হতে পারে।
রোলেবল স্মার্টফোন শুধু আকারই হাইলাইট নয়। এই ডিসপ্লে ২,২৯৬×১,৫৯৬ পিক্সেলের আকষর্ণীয় রেজোলিউশন, ৩৮৮ পিপিআই পিক্সেল ডেনসিটি এবং সম্পূর্ণ ডিসিআই- পি৩ কালার গ্যামটের কভারেজ অফার করে। আরেকটি আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট্য হল, মিনি রিয়ার ডিসপ্লে। যা নোটিফিকেশনের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।
শোনা যাচ্ছে, ভিভো চীনের বিওই বা দক্ষিণ কোরিয়ার স্যামসাং ডিসপ্লে এর মতো সুপরিচিত ডিসপ্লে প্রস্তুতকারকদের সাহায্য নিচ্ছে। এক্ষেত্রে শিল্প বিশেষজ্ঞরা ইঙ্গিত দিয়েছেন, বিওই এই উদ্যোগে বেশি উত্সাহী অংশগ্রহণকারী হতে পারে।
স্মার্টফোন নির্মাতাদের রোলেবল প্রযুক্তির প্রতি এই উদ্যোগ ফোল্ডেবল ফোনের ক্ষেত্রে স্যামসাংকে ছাড়িয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে হতে পারে। স্যামসাং নিঃসন্দেহে ফোল্ডেবল সেক্টরে এখনও নিজেদের শীর্ষস্থানে ধরে রাখতে পেরেছে। বিশেষ করে তাদের গ্যালাক্সি ফোল্ড সিরিজ দিয়ে। যদিও রয়োলে ২০১৯ সালে বিশ্বের প্রথম ফোল্ডেবল স্মার্টফোন ফ্ল্যাক্সপাই প্রকাশ্যে এনেছিল।